
রাজনীতির ময়দানে দুর্বার, ঘরে আদর্শ পিতা
বাংলাদেশের বহুমাত্রিক রাজনীতির ক্যানভাসে অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা এক অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্বের নাম। তিনি কেবল রাজপথের একজন অকুতোভয় নেতা এবং আইনের শাসনের অতন্দ্র প্রহরীই নন, তিনি ব্যক্তিগত জীবনে স্নেহশীল স্বামী এবং চার আলোকিত সন্তানের গর্বিত পিতা। রাজনীতির উত্তাল তরঙ্গ এবং পারিবারিক জীবনের নির্মল প্রশান্তি—এই দুই ভুবনের মধ্যে তিনি যে অসামান্য ভারসাম্য রচনা করেছেন, তা বর্তমান সময়ের জন্য এক বিরল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
অ্যাডভোকেট এ.এন.এম আবেদ রাজা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। তিনি বিদ্যার বাতিঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর (এম.এস.এস) এবং পরবর্তীতে আইনশাস্ত্রে (এল.এল.বি) ডিগ্রি অর্জন করেন। তার রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটে ছাত্রজীবনেই, ছাত্র ইউনিয়নের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে। স্বৈরাচারবিরোধী অগ্নিঝরা দিনগুলিতে তিনি ছিলেন সম্মুখ সারির এক নির্ভীক সেনানী। মাতৃভূমি সিলেটের প্রতি তার নাড়ির টান ছিল অকৃত্রিম; সিলেটকে বিভাগে রূপান্তরের দাবিতে তিনি ঐতিহাসিক 'সিলেট বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদ' প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর সভাপতির গুরুদায়িত্ব পালন করেন। তার এই ঐতিহাসিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আপামর জনতা তাকে 'সিলেট বিভাগ বন্ধু' নামক গৌরবময় উপাধিতে ভূষিত করে। ২০০৮ সালে তিনি 'গণতন্ত্রের মা' দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের মতো জাতীয় স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং দেশনেত্রীর কারামুক্তির দাবিতে তার একক আমরণ অনশন কর্মসূচি জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
এম.এস.এস (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এল.এল.বি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
“পরিবর্তনের সূচনা পরিবার থেকেই—এই বিশ্বাস আমার রাজনৈতিক দর্শনের অন্যতম ভিত্তি। ... কুলাউড়ার প্রতিটি মানুষ আমার আত্মার আত্মীয়, আমার পরিবারের অংশ। তাঁদের দুঃখে আমি কষ্ট পাই, তাঁদের অগ্রগতিতেই আমি খুঁজে পাই স্বার্থকতা।”
রাজনৈতিক যাত্রা
আমার গর্বিত পরিবার
"একজন পিতা হিসেবে আমি আমার সন্তানদের আত্মবিশ্বাসী, দেশপ্রেমিক ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলেছি।"
জায়েদা আবেদ
সহধর্মিণী - গৃহিণী
একজন রত্নগর্ভা মা এবং পরিবারের স্নেহময়ী স্তম্ভ। তিনি কেবল একজন আদর্শ গৃহিণীই নন, বরং স্বামীর ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ রাজনৈতিক জীবনের প্রধান অনুপ্রেরণা ও শক্তি হিসেবে পরিবারকে আগলে রেখেছেন।
আবিদা সুলতানা মিল্কি
বড় মেয়ে - বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার
পিতার প্রজ্ঞা ও আদর্শে অনুপ্রাণিত, অসামান্য মেধাবী। ৩৮তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নির্মম শিকার হয়ে যোগদানে দীর্ঘদিন বাধাগ্রস্ত হলেও, অদম্য মনোবলে তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যান। ২০২৪ সালে তিনি গ্যাজেটভুক্ত হন এবং বর্তমানে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিষ্ঠার সাথে কর্মরত আছেন।
ব্যারিস্টার এ.এন.এম জাবেদ পুলক
একমাত্র পুত্র - ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল
পিতার আইনজ্ঞ পরিচয় ও সত্যনিষ্ঠার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আইন জগতেই নিজের স্থান করে নিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সম্মানজনক 'বার-অ্যাট-ল' ডিগ্রি সম্পন্ন করে তিনি বর্তমানে ঢাকা জজ কোর্ট এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তরুণ আইনজীবী হিসেবে সফলতার সাথে নিয়োজিত আছেন।
ক্যাপ্টেন আসফিয়া সুলতানা শিলা
তৃতীয় সন্তান - বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
দেশপ্রেম ও সেবার এক মূর্ত প্রতীক। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭৭তম লং কোর্সের মাধ্যমে অত্যন্ত সুনামের সাথে কমিশনপ্রাপ্ত হন এবং বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ার কোরে ক্যাপ্টেন পদে কর্মরত থেকে দেশমাতৃকার সেবা করছেন।
রিদিমা সুলতানা শৈলী
কনিষ্ঠ কন্যা - শিক্ষার্থী (আইন বিভাগ)
পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্য এবং তিনিও পিতার মতোই আইনের জটিল ও ন্যায়বিচারের পথে হাঁটছেন। তিনি বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে অধ্যয়নরত আছেন।
শাহরিয়ার
জামাতা (বড়) - সরকারি কর্মকর্তা
বড় জামাতা, তিনি তার কর্মক্ষেত্রে বর্তমানে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
মেজর জাফর সাদিক
জামাতা (মধ্যম) - বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
মধ্যম জামাতা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন চৌকস ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা। তিনি অর্ডন্যান্স (Ordnance) কোরে মেজর পদে কর্মরত থেকে দেশের প্রতিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
যোগাযোগ করুন
কুলাউড়ার যেকোনো প্রয়োজনে, পরামর্শ বা মতামতের জন্য আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন।