আবেদ রাজা
আবেদ রাজা
প্রথম পাতা
সম্পর্কে
রাজনৈতিক যাত্রা
পরিবার
নিউজ
গ্যালারি
পোস্টার জেনারেট
যোগাযোগ
এডভোকেট এ.এন.এম আবেদ রাজা

২৩৬, মৌলভীবাজার-২, কুলাউড়া


প্রথম পাতাসম্পর্কেরাজনৈতিক যাত্রাপরিবারযোগাযোগ

© 2025 এডভোকেট এ.এন.এম আবেদ রাজা. সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

২৩৬, মৌলভীবাজার-২, কুলাউড়া

এডভোকেট এ.এন.এম আবেদ রাজা

আরও জানুন
যোগাযোগ করুন
এডভোকেট এ.এন.এম আবেদ রাজা

রাজনীতির ময়দানে দুর্বার, ঘরে আদর্শ পিতা

বাংলাদেশের বহুমাত্রিক রাজনীতির ক্যানভাসে অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা এক অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্বের নাম। তিনি কেবল রাজপথের একজন অকুতোভয় নেতা এবং আইনের শাসনের অতন্দ্র প্রহরীই নন, তিনি ব্যক্তিগত জীবনে স্নেহশীল স্বামী এবং চার আলোকিত সন্তানের গর্বিত পিতা। রাজনীতির উত্তাল তরঙ্গ এবং পারিবারিক জীবনের নির্মল প্রশান্তি—এই দুই ভুবনের মধ্যে তিনি যে অসামান্য ভারসাম্য রচনা করেছেন, তা বর্তমান সময়ের জন্য এক বিরল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

অ্যাডভোকেট এ.এন.এম আবেদ রাজা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। তিনি বিদ্যার বাতিঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর (এম.এস.এস) এবং পরবর্তীতে আইনশাস্ত্রে (এল.এল.বি) ডিগ্রি অর্জন করেন। তার রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটে ছাত্রজীবনেই, ছাত্র ইউনিয়নের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে। স্বৈরাচারবিরোধী অগ্নিঝরা দিনগুলিতে তিনি ছিলেন সম্মুখ সারির এক নির্ভীক সেনানী। মাতৃভূমি সিলেটের প্রতি তার নাড়ির টান ছিল অকৃত্রিম; সিলেটকে বিভাগে রূপান্তরের দাবিতে তিনি ঐতিহাসিক 'সিলেট বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদ' প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর সভাপতির গুরুদায়িত্ব পালন করেন। তার এই ঐতিহাসিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আপামর জনতা তাকে 'সিলেট বিভাগ বন্ধু' নামক গৌরবময় উপাধিতে ভূষিত করে। ২০০৮ সালে তিনি 'গণতন্ত্রের মা' দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের মতো জাতীয় স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং দেশনেত্রীর কারামুক্তির দাবিতে তার একক আমরণ অনশন কর্মসূচি জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

এম.এস.এস (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এল.এল.বি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

“পরিবর্তনের সূচনা পরিবার থেকেই—এই বিশ্বাস আমার রাজনৈতিক দর্শনের অন্যতম ভিত্তি। ... কুলাউড়ার প্রতিটি মানুষ আমার আত্মার আত্মীয়, আমার পরিবারের অংশ। তাঁদের দুঃখে আমি কষ্ট পাই, তাঁদের অগ্রগতিতেই আমি খুঁজে পাই স্বার্থকতা।”

- এডভোকেট এ.এন.এম আবেদ রাজা

রাজনৈতিক যাত্রা

১৯৮৪-৮৮

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব

ছাত্রজীবনেই তার আপোষহীন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। স্বৈরাচারী শাসনের অন্ধকার সময়ে তিনি গণতন্ত্রের মশাল হাতে তুলে নেন। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা হিসেবে অগ্নিঝরা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের 'অপরাধে' তাকে তিনবার কারাবরণ করতে হয়।

১৯৮৬-৮৮

জাতীয় ছাত্র ইউনিয়ন

তার প্রখর সাংগঠনিক দক্ষতা, গভীর প্রজ্ঞা এবং সতীর্থদের প্রতি ভালোবাসার গুণে তিনি জাতীয় ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্ব দেন এবং অত্যন্ত সফলতার সাথে গুরুদায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯০

স্বৈরাচারের পতন ও কারামুক্তি

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চূড়ান্ত সংগ্রামে তিনি ছিলেন আপোষহীন। তৎকালীন ৫ দলীয় জোটের নেতা হিসেবে ১৯৯০ সালের ১২ই নভেম্বর তিনি পুনরায় স্বৈরাচারের রোষানলে পড়ে গ্রেপ্তার হন। অবশেষে অদম্য গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৬ই ডিসেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের পর তিনি কারামুক্ত হন।

১৯৯৩-৯৫

সিলেট বিভাগ আন্দোলন

সিলেটের মাটির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার টানে তিনি ঐতিহাসিক ‘সিলেট বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদ’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। তার এই অক্লান্ত শ্রম, দূরদর্শী ও সফল নেতৃত্বের ফসল হিসেবেই আজকের গৌরবময় সিলেট বিভাগ, যার জন্য আপামর জনতা তাকে 'সিলেট বিভাগ বন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করে।

২০০৫

ওসমানী উদ্যান রক্ষা আন্দোলন

কেবল জন্মভূমি সিলেট নয়, রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রক্ষায়ও তিনি ছিলেন পর্বতের মতো অটল। তৎকালীন সরকার যখন ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ওসমানী উদ্যান ধ্বংস করে 'ন্যাম সেন্টার' নির্মাণের আত্মঘাতী অপচেষ্টা চালায়, তিনি তার বিরুদ্ধে সফল গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।

২০০৬

কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল পথ আন্দোলন

কুলাউড়ার মানুষের হৃদয়ের দাবি, বন্ধ হয়ে যাওয়া কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইন পুনরায় চালুর দাবিতে তিনি ২০০৬ সালে যে আন্দোলনের বীজ বপন করেছিলেন, তার ফলশ্রুতিতেই আজ এই রেললাইনের কাজ পুনরায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

২০০৮

বিএনপিতে যোগদান ও নির্বাচন

২০০৮ সালের ২৭ অক্টোবর, তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন, আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী শক্তির মূলধারায় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। একই বছর তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে ৪ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

২০০৯

টিপাইমুখ বাঁধ লং মার্চ

দেশের ভৌগোলিক সার্বভৌমত্ব এবং পরিবেশগত বিপর্যয়ের মারাত্মক আশঙ্কায়, তিনি টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদের সূচনা করেন। ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর, ‘টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ কমিটি’র ব্যানারে আয়োজিত ৩ দিনের লং মার্চে তিনি সফল নেতৃত্ব প্রদান করেন, যা বেগম খালেদা জিয়ার পূর্ণ সম্মতি ও আশীর্বাদপ্রাপ্ত ছিল।

২০১৩

কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার

গণতন্ত্রের জন্য আপোষহীন সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি বারবার শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েছেন। ২০১৩ সালের ১২ই মার্চ, গণতন্ত্রের সূতিকাগার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্বরোচিত পুলিশি অভিযানের সময় তিনি দলের শীর্ষস্থানীয় ১৫৪ জন নেতার সাথে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হন।

২০১৮

আমরণ অনশন

নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসার এক অনন্যসাধারণ নজির স্থাপন করেন তিনি। ২০১৮ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অন্যায় কারাবরণের প্রতিবাদে, তিনি কুলাউড়ায় একক আমরণ অনশন শুরু করেন। তার এই আত্মত্যাগ জাতীয় পর্যায়ে আলোড়ন তোলে এবং ১৮ই ফেব্রুয়ারি দলের মাননীয় মহাসচিবের বিশেষ অনুরোধে তিনি অনশন ভঙ্গ করেন।

২০২৪

গণঅভ্যুত্থান ও কারাবরণ

২০২৪ সালের ঐতিহাসিক ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানকালে সক্রিয় ভূমিকা পালনের 'অপরাধে' ২২ জুলাই তাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগারে অমানবিক নির্যাতনে তার পা ভেঙে যায়। অবশেষে ০৬.০৮.২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর তিনি দেশবাসীর সাথে মুক্তির নিঃশ্বাস গ্রহণ করেন।

আমার গর্বিত পরিবার

"একজন পিতা হিসেবে আমি আমার সন্তানদের আত্মবিশ্বাসী, দেশপ্রেমিক ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলেছি।"

জায়েদা আবেদ

সহধর্মিণী - গৃহিণী

একজন রত্নগর্ভা মা এবং পরিবারের স্নেহময়ী স্তম্ভ। তিনি কেবল একজন আদর্শ গৃহিণীই নন, বরং স্বামীর ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ রাজনৈতিক জীবনের প্রধান অনুপ্রেরণা ও শক্তি হিসেবে পরিবারকে আগলে রেখেছেন।

আবিদা সুলতানা মিল্কি

বড় মেয়ে - বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার

পিতার প্রজ্ঞা ও আদর্শে অনুপ্রাণিত, অসামান্য মেধাবী। ৩৮তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নির্মম শিকার হয়ে যোগদানে দীর্ঘদিন বাধাগ্রস্ত হলেও, অদম্য মনোবলে তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যান। ২০২৪ সালে তিনি গ্যাজেটভুক্ত হন এবং বর্তমানে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিষ্ঠার সাথে কর্মরত আছেন।

ব্যারিস্টার এ.এন.এম জাবেদ পুলক

একমাত্র পুত্র - ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল

পিতার আইনজ্ঞ পরিচয় ও সত্যনিষ্ঠার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আইন জগতেই নিজের স্থান করে নিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সম্মানজনক 'বার-অ্যাট-ল' ডিগ্রি সম্পন্ন করে তিনি বর্তমানে ঢাকা জজ কোর্ট এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তরুণ আইনজীবী হিসেবে সফলতার সাথে নিয়োজিত আছেন।

ক্যাপ্টেন আসফিয়া সুলতানা শিলা

তৃতীয় সন্তান - বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

দেশপ্রেম ও সেবার এক মূর্ত প্রতীক। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭৭তম লং কোর্সের মাধ্যমে অত্যন্ত সুনামের সাথে কমিশনপ্রাপ্ত হন এবং বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ার কোরে ক্যাপ্টেন পদে কর্মরত থেকে দেশমাতৃকার সেবা করছেন।

রিদিমা সুলতানা শৈলী

কনিষ্ঠ কন্যা - শিক্ষার্থী (আইন বিভাগ)

পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্য এবং তিনিও পিতার মতোই আইনের জটিল ও ন্যায়বিচারের পথে হাঁটছেন। তিনি বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে অধ্যয়নরত আছেন।

শাহরিয়ার

জামাতা (বড়) - সরকারি কর্মকর্তা

বড় জামাতা, তিনি তার কর্মক্ষেত্রে বর্তমানে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

মেজর জাফর সাদিক

জামাতা (মধ্যম) - বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

মধ্যম জামাতা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন চৌকস ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা। তিনি অর্ডন্যান্স (Ordnance) কোরে মেজর পদে কর্মরত থেকে দেশের প্রতিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

যোগাযোগ করুন

কুলাউড়ার যেকোনো প্রয়োজনে, পরামর্শ বা মতামতের জন্য আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

তথ্য কেন্দ্র

ফোন (কুলাউড়া):০১৮৯৩-৮৪৬৭৪৭, ০১৭৯৯-৭৭৩৩৫৭
ঠিকানা (কুলাউড়া):গ্রাম- নাসিরবাদ, পোঃ কাজলদাড়া, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার
ঠিকানা (ঢাকা):৮৮১, শহীদবাগ, ঢাকা-১২১৭